বগুড়া জেলায় দই শিল্পের সূচনা হয়েছিল প্রায় ২০০ বছর আগে। ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন বর্তমান শেরপুর পৌর শহরের ঘোষ পাড়ায় এই শিল্পের সূচনা করেন। তৎকালীন সময়ে হিন্দু গোয়ালা ঘোষ পরিবারগুলো মিষ্টি তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের হাত ধরেই বগুড়া জেলায় দইয়ের আবির্ভাব। তবে বগুড়া শহর থেকে দক্ষিণে শেরপুর উপজেলায় গৌর গোপাল পাল নামের এক ব্যবসায়ী পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম সরায় দই তৈরি করেন। সেইসময় দই সম্পর্কে স্থানীয়দের ভালো ধারণা ছিল না।
গৌর গোপালের তৈরি দই-ই পরবর্তীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাব ও সাতানী পরিবারের সরবরাহ করতেন তিনি। তাই ওই সময় খাবার’টি পরিচিত ছিল নবাববাড়ির দই হিসেবে। পরবর্তী সময়ে এই খাবারটি বগুড়া জেলার সুখ্যাতি লাভ করেছে এবং প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।
জনশ্রুতি অনুসারে জানা যায়, একদা তৎকালীন বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর স্যার জন এন্ডারসন সর্বপ্রথম ১৯৩৮ সালে বগুড়ার নবাববাড়ি আতিথিয়তা গ্রহনকালে, তাকে দই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।ব্রিটিশ গভর্নর স্যার জন এন্ডারসন দইয়ের স্বাদে মুগ্ধ হয়ে তিনি তা নিজ দেশে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। ধীরে ধীরে ব্রিটেনে বগুড়ার দই-এর কদর বাড়তে থাকে। প্রবাদ রয়েছে “দই মিষ্টি ক্ষিরসা, রাজা বাদশা শেরশাহ, মসজিদ মন্দির মূর্চাঘুর, এসব মিলেই বগুড়ার শেরপুর”।
স্বাদ ও মানে বগুড়ার দইঃবগুড়ার দই স্বাদ অসাধারণ, যা অন্যান্য সকল দই এর চেয়ে ভিন্ন এবং চেয়ে আলাদা স্বাদের যা একবার খাওয়ার পর আপনার মুখে লেগে থাকবে। গুণে, মানে ও স্বাদের কারণে বগুড়ার দই-এর সুখ্যাতি দেশজুড়ে। শুধু দই’কে কেন্দ্র করেই বগুড়া জেলা পেয়েছে নতুন পরিচিতি, দই-এর শহর বলা হয় বগুড়া’কে।
◾বগুড়া শহরে স্বনামধন্য ও সুপরিচিত কয়েকটি দই ভান্ডার হলোঃ
🍯এশিয়া দই ঘর
🍯মহরম আলী দই ঘর
🍯আদি মহরম আলী দই ঘর
🍯আকবরিয়া দই ঘর
🍯শেরপুর দই ঘর।
◾ছবিঃ ছবিটি বগুড়ার শেরপুর দই ফ্যাক্টরী তে নিজের হাতে তোলা।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2