বাংলাদেশের একটি আদিবাসী সম্প্রদায় ‘গারো’। বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগে এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গারোদের বসতি বেশি দেখা যায়। ‘ওয়ানগালা’ হলো এই সম্প্রদায়ের আদিম ঐতিহ্য এবং প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এটি ‘ওয়ান্না’ নামেও বেশ পতিচিত।
আমি মূলত ওয়ানগালা উৎসবের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। দেবতা মিসি আর সালজংয়ের প্রতি ফসল উৎসর্গের এই পূজা-অর্ঘ্য অনুষ্ঠান তাদের গোটা ঐতিহ্যের কথাই বলে।
১৮৬২ সালে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে গারো সম্প্রদায়। এরপর তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতিতে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। তবে অনেকেই তাদের আদি ঐতিহ্য আঁকড়ে ধরে আছেন। বছরে অন্তত একটি বার তারা ফিরে যান শেকড়ের সন্ধানে। খুঁজে পান ঐতিহ্যের ঘ্রাণ। দিনভর পূজা-অর্চনা, স্মৃতিচারণ, নাচগানে মুখর হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ। তুলে ধরা হয় গারো সংস্কৃতির বর্ণিল রূপ।
আমরা বলি নবান্ন উৎসব। ওয়ানগালা ঠিক তারই আদল। তবে এটি হয় অনেক বেশি উৎসবের আমেজে। কার্তিক মাসে গারো সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ফসল। তারা নতুন ফসল আগে নিজেরা ভোগ করেন না। উৎসর্গ করেন তাদের দেবতাকে। একটি দিন শহরও আচ্ছাদিত হয় গারোদের উৎসবের মোড়কে। গ্রাম থেকে গ্রামে চলে নানা আয়োজন।
মাত্র তিন দশক আগেও ওয়ানগালা ছিল গারো সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কালের আবর্তে এখন সেই উৎসবের গাম্ভীর্য এবং ঐতিহ্যে অনেকটাই ছেদ পড়েছে। তাই নবান্নের শুরুতে দেবতাকে নতুন ফসল উৎসর্গের মধ্য দিয়ে পুরোনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার এমন চেষ্টা।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2