বাড়ির উঠানের সামনের জমিতে হাল চাষ করছেন একজন কৃষক। আধুনিক যুগে হারাতে বসেছে বাংলার এই চিরচেনা দৃশ্য। আজকাল খুব একটা চোখে পড়েনা এমন দৃশ্য।
ক্লিক : আমি নিজেই।
লোকেশনঃ সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
বাড়ির উঠানের সামনের জমিতে হাল চাষ করছেন একজন কৃষক। আধুনিক যুগে হারাতে বসেছে বাংলার এই চিরচেনা দৃশ্য। আজকাল খুব একটা চোখে পড়েনা এমন দৃশ্য।
ক্লিক : আমি নিজেই।
লোকেশনঃ সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
✨সোনালী কৈশোর✨
শহুরে যান্ত্রিক জীবনের বাইরে একটু গ্রাম্য প্রশান্তির ছোঁয়া।
ছোটবেলায় দলবেঁধে বিলের পানিতে নেমে হই-হুল্লোর, সাতাঁর কাটা, ভেলা বানানো, শাপলা ফুল তোলা, শালুক কুড়ানো এরকম কত যে আনন্দ আর মজার মধ্য দিয়ে শৈশব পার করেছি তা ভাবলেও শান্তি লাগে। আজকের দিনের বেশিরভাগ শিশু-কিশোরদের কাছে এগুলো অজানা।
ছবিতে কূলার ওপর যা দেখছেন তা হলো পল্লীকবি জসিমউদদীনের “মামার বাড়ি”, “নিমন্ত্রন” কবিতায় উল্লেখিত “শালুক”।
বড়দের কাছে থেকে শুনেছি, আগেকার দিনে অনেক মানুষ অভাবের তাড়নায় এই শালুক খেয়ে দুই/একবেলা কাটিয়ে দিত। বর্তমান যুগেও অনেকের কাছে এটা প্রিয় খাবার। এই মৌসুমে অনেক হাট-বাজারে ও শহরাঞ্চলে এই শালুক বিক্রয় করতে দেখা যায়। কিন্তু নিজে পানিতে নেমে তোলার মধ্যে যে আনন্দ, রেডি করার খাবারের মধ্যে সেই আনন্দ কই?
বাংলাদেশের একটি আদিবাসী সম্প্রদায় ‘গারো’। বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগে এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গারোদের বসতি বেশি দেখা যায়। ‘ওয়ানগালা’ হলো এই সম্প্রদায়ের আদিম ঐতিহ্য এবং প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এটি ‘ওয়ান্না’ নামেও বেশ পতিচিত।
আমি মূলত ওয়ানগালা উৎসবের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। দেবতা মিসি আর সালজংয়ের প্রতি ফসল উৎসর্গের এই পূজা-অর্ঘ্য অনুষ্ঠান তাদের গোটা ঐতিহ্যের কথাই বলে।
১৮৬২ সালে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে গারো সম্প্রদায়। এরপর তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতিতে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। তবে অনেকেই তাদের আদি ঐতিহ্য আঁকড়ে ধরে আছেন। বছরে অন্তত একটি বার তারা ফিরে যান শেকড়ের সন্ধানে। খুঁজে পান ঐতিহ্যের ঘ্রাণ। দিনভর পূজা-অর্চনা, স্মৃতিচারণ, নাচগানে মুখর হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ। তুলে ধরা হয় গারো সংস্কৃতির বর্ণিল রূপ।
আমরা বলি নবান্ন উৎসব। ওয়ানগালা ঠিক তারই আদল। তবে এটি হয় অনেক বেশি উৎসবের আমেজে। কার্তিক মাসে গারো সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ফসল। তারা নতুন ফসল আগে নিজেরা ভোগ করেন না। উৎসর্গ করেন তাদের দেবতাকে। একটি দিন শহরও আচ্ছাদিত হয় গারোদের উৎসবের মোড়কে। গ্রাম থেকে গ্রামে চলে নানা আয়োজন।
মাত্র তিন দশক আগেও ওয়ানগালা ছিল গারো সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কালের আবর্তে এখন সেই উৎসবের গাম্ভীর্য এবং ঐতিহ্যে অনেকটাই ছেদ পড়েছে। তাই নবান্নের শুরুতে দেবতাকে নতুন ফসল উৎসর্গের মধ্য দিয়ে পুরোনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার এমন চেষ্টা।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
বগুড়া জেলায় দই শিল্পের সূচনা হয়েছিল প্রায় ২০০ বছর আগে। ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন বর্তমান শেরপুর পৌর শহরের ঘোষ পাড়ায় এই শিল্পের সূচনা করেন। তৎকালীন সময়ে হিন্দু গোয়ালা ঘোষ পরিবারগুলো মিষ্টি তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের হাত ধরেই বগুড়া জেলায় দইয়ের আবির্ভাব। তবে বগুড়া শহর থেকে দক্ষিণে শেরপুর উপজেলায় গৌর গোপাল পাল নামের এক ব্যবসায়ী পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম সরায় দই তৈরি করেন। সেইসময় দই সম্পর্কে স্থানীয়দের ভালো ধারণা ছিল না।
গৌর গোপালের তৈরি দই-ই পরবর্তীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাব ও সাতানী পরিবারের সরবরাহ করতেন তিনি। তাই ওই সময় খাবার’টি পরিচিত ছিল নবাববাড়ির দই হিসেবে। পরবর্তী সময়ে এই খাবারটি বগুড়া জেলার সুখ্যাতি লাভ করেছে এবং প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।
জনশ্রুতি অনুসারে জানা যায়, একদা তৎকালীন বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর স্যার জন এন্ডারসন সর্বপ্রথম ১৯৩৮ সালে বগুড়ার নবাববাড়ি আতিথিয়তা গ্রহনকালে, তাকে দই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।ব্রিটিশ গভর্নর স্যার জন এন্ডারসন দইয়ের স্বাদে মুগ্ধ হয়ে তিনি তা নিজ দেশে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। ধীরে ধীরে ব্রিটেনে বগুড়ার দই-এর কদর বাড়তে থাকে। প্রবাদ রয়েছে “দই মিষ্টি ক্ষিরসা, রাজা বাদশা শেরশাহ, মসজিদ মন্দির মূর্চাঘুর, এসব মিলেই বগুড়ার শেরপুর”।
স্বাদ ও মানে বগুড়ার দইঃবগুড়ার দই স্বাদ অসাধারণ, যা অন্যান্য সকল দই এর চেয়ে ভিন্ন এবং চেয়ে আলাদা স্বাদের যা একবার খাওয়ার পর আপনার মুখে লেগে থাকবে। গুণে, মানে ও স্বাদের কারণে বগুড়ার দই-এর সুখ্যাতি দেশজুড়ে। শুধু দই’কে কেন্দ্র করেই বগুড়া জেলা পেয়েছে নতুন পরিচিতি, দই-এর শহর বলা হয় বগুড়া’কে।
◾বগুড়া শহরে স্বনামধন্য ও সুপরিচিত কয়েকটি দই ভান্ডার হলোঃ
🍯এশিয়া দই ঘর
🍯মহরম আলী দই ঘর
🍯আদি মহরম আলী দই ঘর
🍯আকবরিয়া দই ঘর
🍯শেরপুর দই ঘর।
◾ছবিঃ ছবিটি বগুড়ার শেরপুর দই ফ্যাক্টরী তে নিজের হাতে তোলা।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের প্রতি মানুষের দুর্বার আকর্ষণ মজ্জাগত। আর এই আকর্ষণ সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে। পরিধেয় পোশাক সংস্কৃতির একটি অংশ বিধায় এটি খুব সহজেই আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। তাই ফ্যাশন ডিজাইনরাও বর্তমান সময়ের চাহিদা পূরণে ঝুঁকছেন অভিনব ও ভিন্নতায়। ফলশ্রুতিতে আধুনিক ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে তারা বেছে নিচ্ছেন আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন আদিবাসী পোশাককে। যার উজ্জ্বল রঙ ও বুনন কৌশল সহজেই সবার নজর কাড়তে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশের কয়েকটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলো-
◾ চাকমা পোশাক
দেশের সর্ববৃহত্ আদিবাসী চাকমা সম্প্রদায়ের মেয়েদের পরিধেয় পোশাক দুটি অংশে বিভক্ত। একটি ‘পিনন’ এবং অপরটি ‘খাদি’। শরীরের নিম্নাংশের পোশাককে বলে পিনন। যা দেখতে অনেকটা সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো। এটি সূক্ষ্ম সুতো ও কমর তাঁত দিয়ে তৈরি হয় এই পোশাক। এ পোশাকের বামদিকের নকশা সমৃদ্ধ অংশকে বলে ‘চাবুকি’। অন্যদিকে, শরীরের ওপরের অংশের বক্ষবন্ধনী পোশাকটি খাদি নামে পরিচিত। এ খাদি আবার দু-ধরনের ‘রাঙ্গাখাদি’ ও ‘চিবিকটানা খাদি’। রাঙ্গাখাদিতে বিভিন্নরকমের নকশা ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইন থাকলেও চিবিকটানা খাদিতে কোনো নকশা থাকে না।
চাকমা ছেলেদের পোশাকে তেমন কোনো বৈচিত্র্যতা নেই। ছেলেরা নিজস্ব বুননের শার্ট, ধুতি, ফতুয়া, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরে। আর বিয়ের সময় মাথায় এক ধরনের কাপড় পেঁচিয়ে রাখে। চাকমা ভাষায় যা ‘হবং’ নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানে আধুনিক পোশাক হিসেবে অনেকেই প্যান্ট, স্যুট, টাইও পরে।
◾ গারো পোশাক
গারো মহিলাদের প্রাচীন পোশাক ‘গেনা’। সেলাই বিহীন গেনা কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন রঙের সুতোয় ডোরাকাটা নকশায় সমৃদ্ধ। তবে বর্তমানে গারো মেয়েদের সচরাচর পরিধেয় পোশাক হচ্ছে ‘আনফেং’ ও ‘দকমান্দা’। দকমান্দার ওপরের অংশে ব্লাউজ বা টপস পরা হয় এবং তার সাথে ওড়না ব্যবহার করা হয়। বয়স্ক নারীরা দকমান্দার পাশাপাশি দকসারি পরে, যেখানে কোনো হাতের কাজ থাকে না এবং দেখতে সাদামাটা কাপড়ের। ছেলেরা লুঙ্গির মতো যে পোশাক পরে তার নাম ‘গেন্না’, তবে তা লুঙ্গি থেকে খাটো। অলঙ্কার হিসেবে গারোরা ‘রিকমাচু’ নামের এক ধরনের মালা পরে।
◾ মারমা পোশাক
মারমা মেয়েদের প্রধান পোশাক ‘থামি’ বা ‘থুবুই’। ‘বেদাই আঙ্গি’ নামের বক্ষবন্ধনীর নিচে এ থামি পরা হয়। ঐতিহ্যবাহী পোশাক থামিতে কারুকার্যে রঙ ও নকশার বৈচিত্র্য থাকে। উত্সবে তারা পোশাকের সাথে সাজ-গোজ ও বিভিন্নরকমের খোপা বাঁধতে পছন্দ করে। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘খাগ্রো’ ব্যবহার করে। তবে বর্তমানে মারমা মেয়েদের আরাকান পোশাকেও অভ্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
মারমা পুরুষরা পকেটযুক্ত কলারবিহীন শার্টের সাথে মোটা কাপড়ের লুঙ্গিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর বিশেষ দিবসে লুঙ্গির ভেতর শার্ট ইন করে পরা হয়। বর্তমানে তারা ট্রাউজার, স্যুটও পরিধান করে।
◾ মণিপুরী পোশাক
মণিপুরী মেয়েদের পোশাকের দুটি অংশ। নিচের অংশ ‘লাঙৌ’ এবং ওপরেরট অংশ ‘ইন্নাফি’। হাতে বোনা পুরো পোশাকটিকে ‘আঙালুরি’ বলে। ইন্নাফিতে সূক্ষ্ম সুতোর কাজ করা থাকে। কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে লাঙৌয়ের পরিবর্তে ‘চাকচাবি’ পরা হয়, যাতে অপেক্ষাকৃত বেশি কারুকাজ থাকে। মণিপুরী নারীদের ব্যবহূত ব্লাউজ ‘ফুরিত’। মণিপুরীরা ব্লাউজের কাপড় নিজেরাই তাঁতে বুনে থাকে। বিয়ে বা উত্সবে ব্যবহূত পোশাক সূক্ষ্ম সুতোয় বোনা হয় এবং তাঁতে রেখেই কারুকাজ করা হয়। মণিপুরী বিয়ের পোশাকে থাকে ‘পল্লই’ ও ‘ইন্নাফি’। আর মাথায় থাকে ‘লেইতেরেং’। মেয়েদের নৃত্যে উজ্জ্বল রঙের কারুকাজময় যে পোশাক সেইটা ‘পল্লই’ নামে পরিচিত।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
বাঁশ কোড়ল আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী প্রিয় খাবার । শুধু পাহাড়িদের প্রিয় খাবার না বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক মানের খাদ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে।
যুগে যুগে পাহাড়ীরা এই প্রিয় খাবারটি খেয়ে আসছে। পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙ্গালিদের ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই খাবারটি। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক ঘুরতে আসলে এই খাবারটি খোঁজে। সাধারণত পাহাড়িদের হোটেলে এই খাবারটি পাওয়া যায়। বিভিন্ন আইটেমে খাবারটি তৈরি করা যায়।
এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে এই খাবার বর্তমানে অতিব জনপ্রিয় একটি মজাদার খাবার। জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ,কম্বোজ , ভারত , মিয়ানমার, চীনসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রে খাবারটি প্রচলন থাকায় আন্তর্জাতিভাবে বেশ চাহিদা রয়েছে।
থাইল্যান্ডে’ব্যাম্বো সূটস’, জাপানি ভাষায় “তেকেনাকো”, মিয়ানমারে “মায়াহেট”, চীনের ভাষায় ‘ব্যাম্বো স্যুট’, নেপালিদের ভাষায় ‘থামা’, ভিয়েনামিদের’মাং’, আসাম রাজ্যে ‘বাঁহ গাজ/খৰিচা’ , ইন্দোনেশিয়ায় ‘রিবাং’ এবং বাংলাদেশের চাকমা আদিবাসীদের ভাষায় ‘বাচ্চুরি’ মারমা আদিবাসীদের লাকশু অভিহিত করা হয়।
বাঁশ কোড়ল শব্দটি বাঙ্গালিরা ব্যবহার করলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠিঠির তাদের ঐতিহ্যগত নামটা ব্যবহার করে থাকেন। জুম্মরা সাধারণত ‘নাপ্পি’ নামক সুগন্ধ শুটকি দিয়ে রান্না করে খেতে বেশ পছন্দ করে এছাড়া বাঙ্গালিরা বিভিন্ন রেসিপির সঙ্গে খেতে ভালবাসে । তবে কালের পরিক্রমায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালিরা ও এখন পাহাড়িদের খাদ্যগুলো পছন্দের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে।
পাহাড়িরা বন থেকে বাঁশ কড়োল মৌসুম অনুযায়ী সংগ্রহ করে থাকে। মৌসুমের উপর নির্ভর করে গ্রামের হাট-বাজারে এই খাদ্যটি পাওয়া যায়। যেমন-রাঙ্গামাটি জেলায়, কলেজ গেইট বাজার,বনরুপা বাজার, বান্দরবানে মগ বাজার, খাগড়াছড়িতে রামগড় এলাকা সহ ইত্যাদিতে স্থানে পাওয়া যায়।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
চাকমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার। অত্যন্ত সুস্বাদু এই খাবারকে স্থানীয় ভাষায় কেবাং ও গোড়াং বলা হয়। এ খাবার মূলত মাছ কিংবা মাংসের সাথে বিভিন্ন মশলা মিক্স করে বাঁশের ভিতর বা কলা পাতায় মুড়ে চুলার আগুনে অথবা কয়লায় রান্না করা হয়।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
গ্রাম বাংলা মানুষের যুগযুগের ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক সুস্বাদু একটি খাবার। গজা চিনে না গ্রাম বাংলায় এমন মানুষের সংখ্যা কম। বিশেষ করে শিশুদের অতি পছন্দের খাবার হচ্ছে গজা।
কবে কখন কোথায় কিভাবে গজা নামের এই মুখরোচক খাদ্যটি আবিষ্কৃত হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে প্রবীণজনেরা বলছেন যখন থেকে গম বা যব পেষাই করে আটা ও ময়দায় রূপান্তরিতকরণ শুরু হয়েছে তখন থেকেই গজা নামক এই মিষ্টি খাদ্য বস্তুটি আবিষ্কৃত হয়। গ্রাম্য মেলা বা হাট-বাজারে সকল শুকনো খাবারের মধ্যে সেরা খাবার ছিল এই গজা। গজা ছাড়া মেলাই জমতো না। পরিবারের লোকজন মেলায় গেলে শিশুদের প্রথম বায়নাই ছিল গজা। শিশুরা প্রথমে জিহব্বায় চেটে গজার উপরিভাগে মিষ্টি স্বাদ নিতো। পরে তারা দাঁত দিয়ে কেটে গজা খেতো। শিশুদের সাথে সাথে বড়রাও গজা খেতে ভুলতো না। মেলায় গিয়ে নিজেরা খেতো আবার পরিবারের সদস্যদের জন্য কাগজের ঠোঙা বা পদ্মপাতার পুটলি ভর্তি করে সের দরে গজা কিনে নিয়ে যেতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই মজার খাদ্য গজা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রাম্য মেলা বা হাট বাজার ছাড়া এখন গজা তেমন একটা দেখা যায় না।
গজার প্রস্তুত প্রনালী সম্পর্কে জানা গেছে, গজা সাধারণত দুই প্রকার। একটি হচ্ছে কাঠ গজা আরেকটি হচ্ছে রস গজা।
এক সময় গ্রামের হাট বাজার বা মেলায় কোন ভাতের হোটেল ছিল না। গ্রামের মানুষ হোটেলে ভাত খেতো না। তারা মনে করতো নিচু পর্যায়ের লোকেরা হোটেলে ভাত খায়। সে সময় ব্যবসায়ীরা গজা বা গজার মত মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাবার তৈরী করে মেলা বা বাজারে বিক্রি করতো। মানুষ গজা বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতো। দিন বদলের সাথে সাথে এসব রেওয়াজ এখন উঠে গেছে। গ্রাম গঞ্জের বাজার, গ্রোথ সেন্টারসহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানে হোটেল, রেস্তোরাঁয় ভরে গেছে। এখন শহর, বন্দর, গ্রাম সকল স্তরের মানুষই হোটেলে ভাত খায়। যার ফলে এসব আলগা শুকনো খাবারের চাহিদাও কমে গেছে। সেই সাথে কমে গেছে গজার চাহিদাও। তবে গজা যে একেবারে নেই তা বলার সুযোগ নেই। গ্রামে গঞ্জের বাজারগুলোতে এখনো কাঠগজা তৈরী করা হয়। বিক্রি করা হয় রস গজাও। তবে সংখ্যায় তা খুবই কম। বেশী বিক্রি হয় খাজা জাতীয় আরেকটি মিষ্টি খাবার। যেগুলো তৈরী করা হয় গজার আদলেই। শখ করে গ্রাম গঞ্জ ও শহরের মানুষ এসব গজা খেয়ে থাকে।
বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
বলীর আভিধানিক অর্থ পরাক্রমশালী বীর পুরুষ। দ্বৈরথ যুদ্ধ যা দু’জন মল্লবীরের শারীরিক শক্তির পরীক্ষা বিশেষ। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে খেলাটি ‘কুস্তি’ নামে পরিচিত। কুস্তি ফারসি শব্দ। শক্তি, সাহস ও কৌশলই বলীদের বিজয়ী হবার প্রধান মন্ত্র। তবে বিখ্যাত বলীদের সেকালে মাল বা মল্ল নামে অভিহিত করা হতো। সমাজে এরা ছিলেন সম্মানের পাত্র। কোথাও কোথাও পাড়া-মহল্লা বা বাড়ির নাম মাল-মল্ল এবং বলীদের নামে নামকরণ হতে দেখা যায়।
একসময় বলী খেলাই ছিল গ্রামীণ জনসাধারণের অবসরযাপন ও চিত্তবিনোদনের অন্যতম খোরাক। গ্রামীণ জনপদে অনেক খেলাই ছিল; কালের বিবর্তনে অধিকাংশই হারিয়ে গেছে। অনেক নতুন নতুন খেলার উৎপত্তি হয়েছে। কিন্তু লৌকিক খেলাধুলার অংশ হিসেবে বলীখেলা সীমিত পরিসরে হলেও টিকে রয়েছে। আগের দিনে প্রায় প্রতিটি গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ে বড় আয়োজনে বলীখেলা হতো, দেশের এক স্থানের বলী অন্য স্থানে গিয়ে খেলতেন ও বিজয়ী হয়ে বীরের বেশে ঘরে ফিরতেন। সঙ্গে আনতেন পুরস্কার হিসেবে অর্থ ও মেডেল। পরিবারের সঙ্গে গ্রামবাসী আনন্দে শরীক হতেন। কেউ কেউ দূর-দূরান্তে সঙ্গী হয়ে চলে যেতেন ও নিজেদের বলীদের উৎসাহ দিতেন। সমাজে বলী খেলা ছিল একাধারে অনাবিল আনন্দের উৎস, অপরদিকে দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
পাহাড়ি নারীদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোমর তাঁত। নিজেদের পরিধেয় বস্ত্র নিজেরাই তৈরি করেন কোমর তাঁতের মাধ্যমে। এ কোমর তাঁতকে আবার অনেকে কিছুটা হলেও বাণিজ্যিক ভাবেও নিয়েছেন। অবসর সময়ে নিজ উদ্যোগে নিজ ঘরে বসে কোমর তাঁতের মাধ্যমে বস্ত্র তৈরি করেন। যা চাহিদা অনুযায়ী বিক্রিও করা হয়।
পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে রয়েছে কম-বেশি কোমর তাঁত। প্রত্যেক ঘরেই নারীরা কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরি করছেন নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এসবের মধ্যে রয়েছে থামি, পিনন, ওড়না, রুমাল, ব্যাগসহ নানা কিছু। স্থানীয় গ্রাম এবং বাজারে এসব বিক্রি করে আয়ও করেন অনেক নারী।
পাহাড়ের জুম অধ্যুষিত দরিদ্র এলাকায় জুমচাষ শেষ হওয়ার পর বেশির ভাগ নারী বেকার হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁরা ঘরে অলস সময় না কাটিয়ে কোমর তাঁতে কাপড় তৈরি করেন। বাজারে ভালো দাম থাকায় কোমর তাঁতে কাপড় তৈরির মাধ্যমে সংসারের চাহিদার একটি অংশের জোগান হয় নারীদের এ ক্ষুদ্র শিল্প থেকে।
‘বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
সময় পরিবর্তনের সাথে আর আধুনিক যন্ত্রপাতির আদলে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন যাত্রা। সেই সাথে এই বাংলা থেকে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য তেলের ঘানি। এক সময় মানুষের রান্না বান্না ও গায়ে মাখার জন্য যে তেল ব্যবহৃত হতো। তার একমাত্র অবলম্বন ছিল কাঠের তৈরী ও গরুর কাঁধে ঘুরানো ঘাঁনি। আজ কালের আবর্তনে গ্রাম-বাংলার চিরায়িত সেই ঘাঁনি মেশিন এখন বিলিনের পথে।
বাংলাদেশ এক রুপ ও বৈচিত্রময় দেশ। এদেশে হাজার রকমের সংস্কৃতি ও গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধারণ করা হয়। তেলের ঘাঁনি তার মধ্যে অন্যতম একটি গ্রাম-বাংলার প্রচীন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন।
কিন্তু আধুনিক যান্ত্রিকয়তার অগ্রাসনে গ্রামগঞ্জের এ যুগের প্রজন্মের কাছে কাঁঠের তৈরী ঘানি এখন শুধুই যেন রূপকথার গল্প। এখন সরিষা ও নারকেল মাড়াইসহ ঘানি মেশিনের যাবতীয় কাজ করছে ইঞ্জিনচালিত মেশিন। তাই গ্রাম-বাংলার প্রচীন ঐতিহ্য কঠের তৈরী ঘানি আজ অসহায় আধুনিক মেশিনের কাছে।
প্রযুক্তির এই যুগে সেই স্থান দখল করে নিয়েছে উন্নত প্রযুক্তির মেশিন। বিদ্যুৎ চালিত এ প্রযুক্তিতে অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায়। উন্নত প্রযুক্তির মেশিন তৈরীর ফলে সুখ প্রিয় বাঙালী পরিবার আর সময় নষ্ট করে, সারাদিন বসে থেকে, ঘানি দিয়ে সরিষা ও নারকেল মাড়াই করে তেল তৈরী করতে চায় না। আর তাই কালের বিবর্তে আধুনিক যন্ত্রপাতির কাছে হার মেনে কাঁঠের তৈরী এই ঘানি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
শত শত বছর আগে থেকেই মানুষ কৃষিকাজে পানি সেচের জন্য নানা কৌশল ব্যবহার করে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি ছিল ‘দোন’-এর সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি সরবরাহ করা। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির সেচযন্ত্রের ভিড়ে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে সনাতনী সেচযন্ত্র ‘দোন’। এ যন্ত্রটি মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও তা কেবল স্বল্প পরিসরের জমি সেচ কাজে ব্যবহার করেন কৃষকরা।
আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। নদী, খালবিল বা জলাশয় থেকে টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো। আর উঁচু-নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে ‘দোন’ ছিল অতুলনীয়। গ্রামবাংলার কৃষকের আদি চিন্তা-চেতনার ফল ছিল এ কাঠের দোন আবিষ্কার।
আম অথবা কাঁঠালজাতীয় গাছের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মাঝখানে খোদাই করে ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। কোনো কোনো স্থানে নারিকেল, তাল, জিগা, সুপারি ও পাইন গাছ দিয়েও এ দোন তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে কাঠের তক্তা দিয়েও এ দোন তৈরি করা হয়। এতে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ছাড়া অন্য কোনো খরচ হয় না।
ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে দোনের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় দোনের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। যেসব জায়গায় ভূপৃষ্ঠের পানি সহজলভ্য সেরকম কিছু এলাকায় শুকনো মৌসুমে দোনের ব্যবহার মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে।
গ্রাম বাংলার নদীগুলোতে একসময় সারা বছর পানি থাকত। এ নদী থেকে দোনের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। তবে যখন পানি থাকে তখন দোন ব্যবহার করে বোরো ফসলের জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেওয়া হয়।
দেশে বর্তমানে সব জমি শতভাগ সেচের আওতায় আসায় সনাতনী ‘দোন’-এর সাহায্যে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে কৃষকরা এখন আর দোন ব্যবহার করে না। তবে কালেভদ্রে কিছু ‘দোন’ চোখে পড়ে। পানি শুকিয়ে গেলে ‘দোন’ অকেজো হয়ে পড়ে।
বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
তালগাছ বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেরই জনপ্রিয় গাছ। কারণ এর প্রায় সব অঙ্গ থেকেই কিছু না কিছু কাজের জিনিস তৈরী হয়, কিছুই ফেলা যায় না। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব তালগাছ। তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার চাটাই, মাদুর ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয় এমনকি তালের কাঠ দিয়ে নৌকা, হাউস বোট ইত্যাদি তৈরি হয়। কিন্তু কালের আবর্তে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের এ তালগাছ।
▪তালের ফল এবং বীজ দুই-ই বাঙালির জন্য সুস্বাধু খাদ্য। তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি, ইত্যাদি তৈরি যায়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। তালগাছকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “তালগাছ, এক পায়ে দাড়িয়ে, ঊকি মারে আঁকাশে, সব গাছ ছাড়িয়ে,।” রবীন্দ্রনাথ তাল গাছকে একাকী এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ধ্যানী বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাল গাছকে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে, ক্লাসে পড়া না পারা ছাত্রের সাথে তুলনা করেছেন। আমাদের দেশের পরিবেশ বান্ধব এই তাল গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। এক সময় সারা বাংলার গ্রামগঞ্জে প্রায় প্রতিটি ভিটা বাড়ি থেকে শুরু করে আনাচে কানাচে, রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো তাল গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখে পরতো। কালের পরিক্রমায় বাংলার ঐতিহ্যের অংশ তাল গাছের অস্তিত্ব আজ সংকটাপূর্ণ।
▪দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাল গাছ আস্তে আস্তে হারিয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রজন্ম অনেকটা তাল গাছের বৈশিষ্ট, উপকারিতা ও তাল ফলের স্বাদ ভুলতে বসেছে। জৈষ্ঠ, আষাঢ় মাসে কাঁচা তাল ফলের শাস খেতে চারিদিকে ডাক পরে যেত। চলতো শাঁস খাওয়ার প্রতিযোগিতা। কে কত খেতে পারে। শ্রাবণ ভাদ্র মাসে পাকা তালের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠতো প্রতিটি পাড়া মহল্লা। শ্রাবণ মাসে কলাপাতায় তালের পিঠা তৈরীতে ধুম পরে যেত। শুধু তালের পিঠাই নয়, তালের রুটি, তালের বড়াও তালসত্বসহ আরও বাহারী অনেক রকম পিঠা। মেহমানদারীতে সকল পিঠা ছিল স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। তাল গাছের পাতার সাথে সুপরিচিত বাবুই পাখির সুনিপুণভাবে তৈরী পাতার সাথে ঝুলাানো বাসা (আশ্রয়স্থল) সকলের পরিচিত।
▪আজকাল হাজার হাজার পাখির কিচির-মিচির ডাক আর মনোরম দৃশ্য চোখে পরে না। তাল গাছ এক বীজ পত্রী উদ্ভিদ। শাখা প্রশাখাবিহীন এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা অন্যতম দীর্ঘ এই গাছের মাধ্যমে পাড়া, মহল্লা ও বাড়ির পরিচয় পাওয়া যেত। তাল গাছ ৬০-৭০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর জীবন কাল প্রায় ১০০-১৫০ বছর। গ্রাম বাংলার মাটি তাল গাছের উপযোগী। গ্রাম-গঞ্জে এমনও একটি প্রচলিত কাব্য আছে শালিস মানি কিন্তু বড় তাল গাছটা আমার। এ কথার মাধ্যমে তাল গাছের গুরুত্বকেই বুঝানো হয়েছে। জনশ্রুতি আছে যে, তাল গাছের মত বড় বড় গাছে বজ্রপাত হতো। ফলে মাঠ-ঘাটে প্রাণিকুলের জীবন রক্ষা পেতো। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি হয়ে উঠছে বিরাগভাজন।
তাল গাছের সকল অংশই মানুষের উপকারে আসে। এ গাছ রোপন করলে তাতে বেশী জমি দখল করেনা তাই জমিও নষ্ট হয় না। কোন সার ঔষধ ব্যবহার করতে হয়না। কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। রোপন করার ১০ থেকে ১৫ বছর পরে তাল গাছে ফল ধরে। এ গাছ খুব শক্ত-পোক্ত হওয়ায় ঝড় বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকেনা।
ℹ পরিশেষে বলতে চাই, আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগাই, পরিবেশ দুষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
▪বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
➡Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
আধুনিক বৈদ্যুতিক যুগে বর্তমানে আবহমান গ্রাম বাংলার এক সময়ের কুপিবাতি এখন শুধুই স্মৃতি। মাত্র ৮/১০ বছর আগেও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় কুপিবাতি আজ বিলুপ্তির পথে।
সন্ধ্যা হলেই গ্রাম ও গ্রাম্য বাজারে কুপির মিটমিট আলোয় চেনা যেত হাট-বাজারসহ গ্রামের সেই চিরচেনা রুপ। আগের দিনের মানুষের ছিল নানা ধরনের বাহারি কুপি। সেই কুপই ছিল মানুষের অন্ধকার নিবারণের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু কালের আবর্তে আধুনিক বৈদ্যুতিক যুগে বর্তমানে সেই কুপিবাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বাহারী বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার লাইট, র্টচ লাইট, মোবাইল লাইটসহ আরো অনকে কিছু। ফলে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় এই নিদর্শনটি।
তৎকালীন সময়ে মানুষ মাটি, বাঁশ, লোহা ও কাঁচ দিয়ে তৈরী করতো কপিবাতি। সার্মথ্য অনুযায়ী লোকজন কুপি কিনে সেগুলো ব্যবহার করত। শৈলকুপা বাজার সহ সাধারণত উপজেলার ছোট বড় বাজারের দোকানে বিভিন্ন ধরনের কুপি পাওয়া যেত। কুপি হতে বেশি আলো পাওয়ার জন্য ছোট কুপি গুলোর জন্য কাঠ, মাটি বা কাঁচের তৈরি গজা বা স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হতো। এই গজা বা স্ট্যান্ড গুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের। কিন্তু বর্তমানে গ্রামে গ্রামে বৈদ্যুতের ছোঁয়ায় সেই কুপিবাতি হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও অবশিষ্ট সময় মানুষ বর্তমানে ব্যবহার করছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার লাইট ও মোমবাতি।
এমন সময় আসবে যখন ভবিষৎ প্রজন্মদের কুপিবাতি চেনানোর জন্য জাদু ঘরে নিয়ে যেতে হবে। গ্রামের অধিকাংশ লোকের কাছে কুপরি কদর হারিয়ে গেলেও এখনও অনেক লোক আছে যারা আঁকড়ে ধরে আছেন কুপরি সেই স্মৃতি। গ্রামের সৌখিন গৃহস্ত বাড়ি ও অনেকে নিম্ন আয়ের মানুষ স্বযত্নে কুপিবাতি সংরক্ষন করে রেখেছেন নিদর্শন হিসেবে।
বাংলার ঐতিহ্যের কথা’কে কিছু জানাতে এবং জানতে পারসোনাল প্রোফাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
▪Personal Kotha account⤵
🆔 HaBil
https://link.kotha.app/app/user/preview/34bgf66x2
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটি দিয়ে তৈরি ঘর ইট পাথরের নির্মাণ আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে।।🌺
আমরা দেশ, মাটি ও মানুষের কথা বলি 💝